ভালোবাসার প্রিয় নবী!!
যাকে দেখব বলে মনে আশা রেখেছি শেষ বিচারের কঠিন সময়ে তাহার সুপারিশ যেন নসীব হয় মহিমহিম রবের কাছে মনে প্রানে তাই চাইছি!! যার প্রশংসায় পঞ্চমুখ গোটা সৃষ্টি কুল, সে মহামানবের উম্মত হতে পারা ভেবে আপ্লূত এই মন!!
তিনি আমার প্রিয় নবী ভালোবাসার প্রিয় পাত্র সায়্যেদুল মুরসালিন মুহাম্মদ মুস্তফা
সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিনি আমাদের ভালোবেসেছেন যিনি আমাদের জন্য সারাজীবন এত কষ্ট করেছেন যাদের নিস্বার্থ ত্যাগের কারনে মহান রবের মহা মুল্যবান নিয়ামত ইসলাম কে আমরা এত সহজে পেয়েছি, অনুকূল পরিবেশে পালন করতে পারছি। তাকে কিভাবে আমরা না ভালোবেসে থাকতে পারি?? শুরুতে এই পথ সহজ ছিলো না, কত দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে কত অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে মহান রবের অমীয় বানী পৌছিয়ে দিয়েছেন পুরো জগতের মাঝে এর জন্য প্রিয় নবীﷺকে ঝরাতে হয়েছে কত রক্ত উহুদের ময়দানে ভেঙে গিয়েছে তার পবিত্র দাঁত, মাথায় অসহ্যকর যন্ত্রণা নিয়ে সইতে হয়েছে কত দুর্ভোগ!! যাতে করে আমরা শান্তিতে মহান আল্লাহর দেয়া সরল পথে চলতে পারি!! কিন্তু আফসোস আমরা আজ কতটা অজ্ঞ কতটা দুর্ভাগা কত শত উপন্যাস গল্প পড়ে ঠোতস্থ করে ফেলেছি কিন্তু প্রিয় নবী ﷺ এর পবিত্র নিষ্কুলস চরিত্রের অধিকারীর জীবনী আমরা একটু পড়িনা তাই আমাদের জন্য তার কষ্ট, ত্যাগ আমাদের হৃদয়ে এতটুকু নাড়া দেয়না!! কি বলব আমরা যে এক নির্বোধ জাতি!! প্রিয় নবীর ﷺএরপ্রতি তার সাহাবীরদের ভালোবাসা ছিল এমন তারা তার প্রিয় নবীﷺ এর জন্য তাদের জীবন দিতে পারলে নিজেদের ধন্য মনে করতেন তারা ছিল প্রিয়নবী ﷺএর জন্য নিবেদিত প্রান। এমনি ছিল তাদের অপরিসীম ভালোবাসা তাদের প্রিয় নবীরﷺ এর জন্য জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে
প্রতিটি কাজে।
এখন আর আমাদের সাহাবীদের মত রক্ত দিতে হয়না কোন ত্যাগ শিকার করতে হয়না, কিছু সহজ কাজ করলেই আমরা প্রিয় নবীর প্রতি ভালোবাসার প্রতিফলন করতে পারি প্রিয় নবী ﷺ যেসব কাজ করেছেন তার সুন্নাহ গুলোকে ভালোবাসা সেই অনুযায়ী যথাসম্ভব মেনে চলার চেষ্টা করা।যা করতে আমাদের অর্থ শ্রম দিতে হবে না শুধু জানা থাকলে সহজে আমরা করতে পারি!! যেমন, সকল মানুষের সাথে সদাচরণ করা, একে অন্যের প্রতি সবসময় কল্যাণ কামনা করা, কারো প্রতি মনে হিংসা বিদ্বেষ পোষন না করা, চুপ থাকা না হয় ভালো কথা বলা আর এসব কিছু সহজ কাজ প্রিয় নবীর ﷺএর সুন্নাহ ! আমরা যদি প্রিয় নবীর শাফায়াত পেতে চাই তার জন্য আরেকটা
সহজ কাজ করলেই আমরা প্রিয় নবী মুহাম্মদ ﷺ এর শাফায়াতের সৌভাগ্য লাভ করতে পারি আর তা হল তার প্রতি ভালোবাসা রেখে বেশি বেশি সালাওয়াত বা দরুদ পড়া যা আমরা প্রতি নামাযে তাশাহুদের পর পড়ে থাকি। আর আমরা যারা জানিনা তা আমরা একটু চেষ্টা করলে মুখস্থ করে ফেলতে পারি শুধু প্রয়োজন আন্তরিক স্বদিচ্ছা।আর সংক্ষেপে খুব সহজ একটা দরুদ পড়তে পারি যেমন সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ﷺ ""যতদিন পুরো দরুদ মুখস্থ না হয়।
কারন রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি দুরুদ পড়লে মহান আল্লাহ গুনাহ মাফ করেন তার প্রতি রহমত বর্ষন করেন, পাঠকারীর মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এবং সে কিছু চাইলে মহান আল্লাহ তার দুয়া অবশ্যই কবুল করেন আর সবচেয়ে বড় উপহার রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি এর শাফায়াত পাওয়ার সৌভাগ্য!! তাই আমরা যেন প্রিয় নবীর প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ স্বরুপ বেশি বেশি তার প্রতি দরুদ পাঠ করি তার প্রতি দরুদ পাঠ করার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম কারন মহান আল্লাহ তার ফেরেশতা প্রিয় নবীর প্রতি সালাওয়াত পেশ করে থাকেন
যা সুরা আহযাবে বলা হয়েছে!! এই ছোট আমলটি খুবই সহজ তবে এর উপকারীতা ব্যাপক যা বলতে গেলে পৃষ্ঠা পর পৃষ্ঠা লেখা যাবে!! তাই আমরা যদি সত্যি প্রিয় নবী ﷺ কে ভালোবাসি তাহলে তার আনীত সুন্নাহ সমুহ যথাসম্ভব পালন করা এবং তিনি যেসব বিষয় নিষেধ করেছেন তা বর্জন করা তার সুন্নাহ গুলোকে তখনি সঠিক ভাবে মেনে চলতে পারব যখন আমরা এর গুরুত্ব বুঝতে পারব। কারন আজ প্রিয় নবীর সুন্নাতের জায়গায় বিজাতীয় কালচার সমুহ অনুপ্রবেশ করেছে যা নিতান্তই দুঃখজনক!! এসব অনুপ্রবেশ ঘটেছে আমাদের সুন্নাতের প্রতি অবহেলার কারণেই!! আজ আমরা যদি সুন্নাহ গুলো কে অবহেলা করে থাকি তাহলে আমরা প্রকৃত অর্থে রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু এর শাফায়াত লাভের আশা কিভাবে করতে পারি??
যার অনুসরণ যার আর্দশ সন্দেহাতীতভাবে নির্ভুল,, যিনি সবোর্চ্চ নৈতিক চরিত্রে অধিষ্ঠিত । যার অনুসরণ করলেই দুনিয়া ও আখিরাতের সাফল্য অবধারিত!!
(”আর যে কেউ আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে, আল্লাহ্কে ভয় করে ও তাঁর তাকওয়া অবলম্বন করে, তাহলে তারাই কৃতকার্য” (সুরা নুর :৫২)
#ভালোবাসি প্রিয় নবী মুহাম্মদ ﷺকে#
#বর্জন করুন কুফর,শিরক বিদায়াত#
#বর্জন করুন বিজাতীয় কালচার #
#বর্জন করুন ইসলাম বিদ্বেষী প্রিয় নবীর অবমাননা কারী সকল ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্র কে #
Comments
Post a Comment