অজ্ঞ কাজ!!
মনটা আমার দুঃখে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ে!! কারণ আমরা কতটা দুনিয়ার প্রতি প্রেমাসক্ত হয়ে পড়েছি,, মুখে বলি মুসলিম কিন্তু আমাদের কাজের মধ্যে বিন্দুমাত্র এর লক্ষন দেখিনা। আমরা সবাই জান্নাতে যেতে চাই কিন্তু এর জন্য সচেষ্ট হইনা!! হয়তো এসব কথা আগেও বলেছি কিন্তু না বলি আর থাকতে পারি না যখন দেখি জানার পরও যখন নিজেদের সংশোধন করিনা!! যেসব কাজ করলে মহান আল্লাহ অসুন্তুষ্ট হোন সেসব কাজের প্রতি আমাদের যত মনোযোগ নিজের মন যা বলে তারই পিছনে আমরা ছুটি, কিন্তু আল্লাহ কি বলেন তার প্রতি আমাদের কোন গুরুত্ব নেই। আল্লাহ বলেন ঈমান আনয়নের পর আমাদের অবশ্যই দিনে রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে হবে কিন্তু সে ক্ষেত্রে আমাদের কত উদাসীনতা! অথচ শব বরাত এলে কত ইবাদাত করতে হবে তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথার শেষ থাকেনা। অথচ এই ব্যপারে কোন সুনির্দিষ্ট হাদিস নেই যে এই রাতে নামাজ পড়তে হবে। এই পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে২৪ ঘন্টার মধ্যে হয়তো সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে,, কিন্তু যিনি আমাদের ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করলেন তার জন্য আমাদের এক মিনিট ও সময় নেই!! দুনিয়াবি কাজ করে সময় পাই না,, আর চিরস্থায়ী জীবনকে সুুুন্দর করার জন্য কিভাবে সময় দেব। এরকম আরও অনেক অপ্রয়োজনীয় কাজ আছে যেসব কাজ মহান আল্লাহর ও রাসুলের বিরুদ্ধে যায়,আর এমন কাজও করছি যেসব কাজগুলো কুরআন ও সুন্নাহ থেকে করতে বলা হয়নি, সেসব কাজ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। এর মধ্যে একটি কাজ আমাদের মুসলিম সমাজে ব্যাপভাবে ঢুকে গেছে। অনেকে জানি এই কাজটি বিজাতীয় সস্কৃতি, এই কাজটি করা উচিত না এরপর ও আমরা হয়তো অজ্ঞাত বসত এই কাজের গুনাহের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন নই বলে এমন ধরনের কাজকে গুনাহ মনে করছি না বরং ভালো কাজই মনে করছি!! আজকে আমরা ইহুদি খ্রিস্টানদের কালচারকে নিজেদের কালচার বানিয়ে নিয়েছি বড় করে আয়োজন করে কেক মোমবাতি জালিয়ে জন্ম দিনপালন করা আবার সাথে উইশ করা এমনকি উপহার প্রদান করা এর ছবি তুলে সোসাল সাইট গুলো তে প্রচার করা যেন বুঝাচ্ছে আমি কত বড় সোসালিস্ট!! অথচ এসব অনর্থক কাজ ইসলামে কোনভাবেই সমর্থন করে না নিজে তো ভুল কাজ করছেই সাথে অন্যদের ও উদ্বুদ্ধ করছে এসব ভুল কাজ করার জন্য। সত্যি বলতে আজ আমরা যেসব কাজ করতে আমাদের ভালো লাগে সেসবের প্রতি অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি তা ইসলাম সমর্থন করুক আর নাই করুক!! এটা ভাবিনা আমি যে কাজটি করছি তা করলে কি মহান আল্লাহ খুশি হবেন না অসুন্তুষ্ট হবেন আমরা আজ নিজের মন যা বলে তার কথাই শুনছি!! কিন্তু মহান আল্লাহ কি বলছেন তা আমরা শুনছি না মুসলিম তো সে হল যে নিজের মনের সকল ইচ্ছা অভিলাষ কে মহান আল্লাহর জন্য নিবেদিত করে। আসলে আমরা মুসলিম নামের অর্থ কি সেটার মমার্থই বুঝিনি। জানি এসব লেখা গুলো শুধু পড়ার জন্যই পড়া ভালো না লাগলে হয়তো এড়িয়ে যাবে। আমি এসব কাউকে উপদেশ দেয়ার উদ্দেশ্যে অথবা কাউকে কষ্ট দেয়ার উদ্দেশ্যে বলছি না,, এটা এর জন্যই বলছি আমি আমার স্বল্প জ্ঞানে ইসলামের আলোকে যতটুকু জানতে পেরেছি তা আমি শেয়ার করিছি মাত্র।এখানে আমরা মুসলিম হিসেবে যে ভুল কাজ করছি তার একটি চিত্র তুলে ধরেছি মাত্র। আমি অন্যের চেয়ে উত্তম নই নিজেও জানার চেষ্টা করছি মাত্র। আমি এটাও বলছি না যে আমার এই লেখা পড়ে কেউ পরিবর্তন হয়ে যাবে,,
কেউ যদি সত্যিই পরিবর্তন হতে চায় তাহলে সে মহান রবের অনুগ্রহে নিজের বিবেক বুদ্ধি কে কাজে লাগিয়ে পরিবর্তন হবে। আমাদের মুসলিম হিসেবে দায়িত্ব আমরা মহান আল্লাহর বানী আল কুরআন সুন্নাহ থেকে যা জানতে পেরেছি তা অন্যকে জানিয়ে দেয়া যদি তা আমরা না করি তাহলে মহান আল্লাহর কাছে আমাদের জবাবদিহি করতে হবে।
কারন মহান আল্লাহ সুরা মায়েদা ৬৭ নম্বর আয়াতে স্পষ্ট ভাবে বলে দিয়েছেন প্রচার কর তোমার রবের বানী ” যার মুল কথা হচ্ছে মহান আল্লাহ রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নির্দেশ দিচ্ছেন তিনি যেন রবের বানী মানুষের কাছে পৌছিয়ে দেন।
অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে,
আমরা আজ সোসাল সাইট গুলো থেকে ভালো জিনিসটা নেইনা,বরং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে খারাপ কোন জিনিস পেলে সাথে সাথে লুফে নেই আর সেসব খারাপ জিনিস গুলো শেয়ার করি দেই । সোসাল সাইট গুলো এখন শুধু মাত্র সময় কাটানোর মাধ্যমে পরিনত হয়েছে!! এই জিনিসটা হয়তো ভুলে গেছি মহান আল্লাহ আমাদের প্রতিটি সময়ের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন আমরা আমাদের সময় গুলো ভালো কাজে ব্যয় করেছি না অনর্থক কাজে সময় নষ্ট করেছি এই সোসাল সাইট গুলো যদি এখন একমাত্র সময় পার করার মাধ্যম হয় এর থেকে যদি আমরা উপকারী ভালো কিছুই অর্জন করতে না পারি তাহলে এই সময় গুলো হয়তো একদিন আমাদের জন্য আফসোসের কারণ হয়ে যাবে!!
Comments
Post a Comment