দৃষ্টির আমানত!!

 চলো না ঘুরে আসি অজানাতে যেখানে স্বচ্ছ নদী বিস্তীর্ণ দিগন্তে মিশে গেছে ,  সবুজ ঘাসে পা মাড়িয়ে চলতে চলতে সন্ধ্যা নেমেছে রুপালি জোছনা গায়ে এসে পড়ে  মুখ পানে চেয়ে অপলক তাকিয়ে। 

 অপরুপ নজর কাড়া দৃশ্য দেখে চোখ দুটো ছলছল করছিলো! অবাক বিস্ময়ে ভাবে এত সুন্দর প্রকৃতি,মহিমান্বিত প্রভু এই আঁখি দুটো দিয়েছেন এত সুন্দর দৃশ্য দেখে মহান রবের সৃষ্টির সৌন্দর্য  উপলব্ধি করার জন্য। অথচ আমরা কতইনা অপব্যবহার করছি এই চোখের আলো দ্বারা!! একটু কি আমরা তা চিন্তা করি যদি  চোখের আলো আমাদের হৃদয়ে আলো দিয়ে প্রবেশ না করে তাহলে আমাদের আর দৃষ্টিহীনের মাঝে কোন পার্থক্য থাকবেনা। চোখ আছে বলে যে আমরা যা ইচ্ছা তাই দেখব তা কিন্তু না আমাদের দৃষ্টির একটা সীমারেখা আছে   কারণ মহান আল্লাহ আমাদের শরীরে যত অঙ্গ দিয়েছেন চোখ হাত পা মাথা ইত্যাদি  তা আমাদের জন্য  আমানত হিসেবে যে কিভাবে আমরা এসব মুল্যবান নিয়ামতের ব্যবহার করি। আমরা যদি আমাদের অঙ্গ দ্বারা ভালো কাজ করি তাহলেই এই মহামুল্যবান নেয়ামতের আমানত রক্ষা করা হবে। মহান আল্লাহ আমাদের বিচার দিবসের দিন চোখ হাত পা মন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন আমরা আমাদের এই  মুল্যবান অঙ্গগুলো কে কি কাজে ব্যবহার করেছি খারাপ কাজে না ভালো কাজে!!   

প্রকৃতগতভাবে মহান আল্লাহ মেয়েদের কে অনেক আর্কষনীয় ভাবে সৃষ্টি করেছেন আর সৃষ্টিগতভাবে ছেলেরা মেয়েদের প্রতি আকৃষ্ট হবে এটাই স্বাভাবিক।  এর জন্যই মহান আল্লাহ মেয়েদের সৌন্দর্য কে সুরক্ষিত করে রাখার জন্য দিয়েছেন পর্দা অর্থাৎ সুন্দরকে ঢেকে রাখা, একটা ছেলে যদি একটা মেয়ের দিকে ভালো মনে ও তাকায় তারপরও এটাকে আমরা সুদৃষ্টি বলবনা কারণ সে যতই ভালো মনে তাকে দেখুক না কেন তার মনে মেয়েটির প্রতি একটা আর্কষন হবেই তা আমরা না মানলে ও।  তাই মহান আল্লাহ আগে ছেলেদের জন্য পর্দার বিধান  দিয়েছেন তারা যেন দৃষ্টি সংযত রাখে নিচু রাখে যাতে করে কোন ধরনের ফিতনা থাকে  তাই  ছেলেরা তাদের দৃষ্টি সংযত রাখবে আর মেয়েরা মহান আল্লাহর বিধান মতো পর্দা করবে, পর্দা শুধু মাত্র সৌন্দর্য কে ঢেকে রাখার উদ্দেশ্য  নয় তা নামাজ রোজার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত বটে আমরা যদি মহান আল্লাহর যে নির্দেশ দিয়েছেন তা যথাযথ ভাবে মেনে চলার চেষ্টা করতে পারি  তখন সমাজে এসব অনাচার নিকৃষ্ট কাজ গুলো অনেক কমে  যাবে। তবে যারা এসব নিকৃষ্ট কাজ করবে তাদের অবশ্যই শাস্তি প্রদান করতে হবে কার‍ন এখন  একজন মেয়ে যখন মহান আল্লাহর বিধানকে ভালোবেসে পর্দা করছে তারাও এই জঘন্য অত্যাচার থেকে রে্হাই পাচ্ছে না। মহান আল্লাহ ভালো খারাপ উভয় ধরনের মানুষ সৃষ্টি করেছেন তাই কিছু  বিকারগ্রস্ত খারাপ মানুষের জন্য আমরা সকল ছেলেকে যেমন দায়ী করতে পারিনা তেমনি কিছু মেয়ের ভুল কাজের জন্য আমরা একতরফা ভাবে সকল মেয়েদের দোষ দিতে পারিনা পরিশেষে একটা কথায় বলব সুমহান রব আমাদের ভালোবেসে সৃষ্টি করেছেন তিনি নারী পুরষের জন্য  যেসব নির্দেশনা দিয়েছেন তা উভয়ের  ভালোর জন্যই কারণ তিনি আমাদের পালন কর্তা। তিনি জানেন কোন জিনিসটা আমাদের জন্য ভালো হবে! তাই একটু চর্চা করার চেষ্টা করি জ্ঞানের মুল উৎস আল কুরআন সহীহ সুন্নাহ থেকে কারণ এর কোন বিকল্প নেই একজন ছেলে ও মেয়ে তখনই দৃষ্টি সং যত করবে ও প্রত্যেক অঙ্গ, এর সদ্বব্যবহার করবে যখন আল কুরআন সহীহ সুন্নাহ থেকে নৈতিক জ্ঞান অর্জন করবে।তাই ছোট বেলা থেকে আমাদের সন্তানদের আল কুরআন সহীহ সুন্নাহর জ্ঞান দিয়ে সুশিক্ষায় গড়ে তুলি!  তাহলে আশা করা যায় আল্লাহর ইচ্ছায় সে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে!! আর সত্যি বলতে যার মনে সত্যিকারের আল্লাহর ভয় থাকবে সে কখনো  অন্যের জন্য  ক্ষতির কোন কারণ হবে না।   

Comments

Popular Posts