অকারণ ভালোবাসা!!

 ভালোবাসার জন্য কোন কারণ  লাগেনা কিছু মানুষকে কোন কারণ ছাড়াই অনেক ভালো লাগে অনেক কাছের মনে হয় , অনেক আপন লাগে যেন সে যেন আমার চিরচেনা  আবার কাউকে ভালো না লাগার অনেক কারন থাকে যাকে মন থেকে  ভালো লাগবেনা তার অনেক কিছুই অকারণে অপছন্দের কারণ হয়ে দাড়ায় হয়তো এই অপছন্দের কারণ গুলো তার প্রতি শত্রুতায় রুপ নেয়!  আমাদের প্রত্যেকের নিজস্ব একটা ব্যক্তিত্ব আছে সবার নিজস্ব স্বত্তা আলাদা আমার সাথে অন্যের মত পথের মিল নাই থাকতে পারে তাই বলে আমি অন্যকে ছোট তুচ্ছ মনে করতে পারি না তাকে শত্রু ভাবতে পারিনা কারণ আমি যা বলব তার সবই যে সঠিক হবে তা কিন্তু না আমার মাঝে ভুল থাকতে পারে  আর আমাদের চলার পথে একে অন্যের সাহায্যের দরকার হয় তাই আমাদের সবসময় মিলেমিশে থাকাটা অতি জরুরি!  যদি আমরা তা না করি তাহলে আমাদের মাঝে বিরুপ ভাব সৃষ্টি হবে যা একটা সমাজবদ্ধ পরিবেশের জন্য অনেক বড় খারাপ ব্যাপার!! যদি সবসময় নিজের দিক টাই সঠিক মনে করি আর অন্যদের সবসময় ভুল ধরার চেষ্টা করি তাহলে আমি আসলে সবচেয়ে বড় ভুলের মধ্যে আছি সত্যি বলতে নিজের ভুল স্বীকার করার মধ্যে কোন লজ্জা নেই বরংনিজের ভুল টাকে উপেক্ষা করে  ভুলটাকে সমর্থন করাই অনেক বড় অন্যায় কাজ তাই আমরা মানুষ হিসেবে একে অপরের মতামত তাদের দৃষ্টিভঙি কে শ্রদ্ধার সাথে দেখব  এবং আমার চোখে যদি কারওভুল ধরা পড়ে তাহলে তাকে বিনয়ের সাথে বুঝিয়ে বলব তাদের দোষ টাকে উপেক্ষা করব আর আমার কোন ভুল হলে তা মেনে নিয়ে নিজেকে শুধরানোর চেষ্টা করব  কারণ পৃথিবীতে যদি সবাই একি মতের হত তাহলে হয়তো এই পৃথিবীর সব কিছু অর্থ হীন মনে হত আর মহান আল্লাহ আমাদের এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন ভালো মন্দের পরীক্ষা করা জন্য  সবাই যদি ভালো হত তাহলে তো সকল  মানুষরা তো ফেরেশতা সমুতুল্য হয়ে যেত!! তাহলে তো এই পরীক্ষার কোন প্রয়োজন ছিলনা!! মহান আল্লাহ দেখতে চান কিভাবে আমরা এত মন্দের মাঝে থেকে ও নিজেকে আর অন্যকে ভালো রাখতে পারি আর যখন আমরা অন্যের দোষ গুলোকে উপেক্ষা করতে পারব  তার  অন্য্যায় আচরণ গুলোর প্রতি উত্তরে ভালো আচরণ করব তখন আমার চরম শত্রু আমার পরম বন্ধুতে পরিণত হবে আর তখন  ভালোবাসার জন্য কোন কারণ  লাগবেনা সবার প্রতি কোন কারণ ছাড়াই ভালোবাসা সৃষ্টি হয়ে যাবে!!

কারণ(" মহান আল্লাহ বলেন আর ভাল ও মন্দ সমান হতে পারে না। মন্দ প্রতিহত করুন তা দ্বারা যা সবচেয়ে ভালো ; ফলে আপনার ও যার মধ্যে  শক্ৰতা আছে, সে হয়ে যাবে অন্তরঙ্গ বন্ধুর মত।আর এটি শুধু তারাই প্রাপ্ত হবে যারা ধৈর্যশীল। আর এর অধিকারী তারাই হবে কেবল যারা মহাভাগ্যবান।

(সুরা হা মীম সেজদা ৩৪,৩৫)

Comments

Popular Posts