নিজেকে অন্যের চেয়ে উত্তম মনে করা!!

 নিজেকে অন্যের চেয়ে উত্তম মনে করা!! 

কাউকে সাহায্য করা, উপদেশ দেয়া, জানেন প্রথম ক্ষেত্রে কি হয়- একটা খুব বড় সমস্যা দেখা  দেয়। আমি যখন কাউকে উপদেশ দিচ্ছি-সমস্যা হল  মাঝে মাঝে আমি এটা ভেবে ফেলি যে, আমি তার চেয়ে উত্তম। 

আমি ভাবি আমি তার থেকে ভালো তাই তার আমার উপদেশের দরকার। আর এটা তখন বড় সমস্যা  বিশেষ করে আপনি যখন উপদেশ দিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। আপনি যদি ভেবে বসেন আপনি অন্যদের চেয়ে অনেক ভালো; শুনুন আমার কাছে মাইক আছে আঠারো টা ক্যামেরাম্যান আমার দিকে ক্যামেরা তাক করে রেখেছে  কিন্তু এইসবের মুল্য আমার কাছে নেই। 

আমি কোন অংশেই আপনাদের চেয়ে উত্তম নই,আপনিও আমার চেয়ে উত্তম নন। মহান আল্লাহ তায়া’লাই বলতে পারেন- কে কার চেয়ে উত্তম; শুধুমাত্র  আল্লাহই জানেন এইসব কোন মর্যাদার মানদণ্ড নয়, তা হতে পারে না; আল্লাহ কি বলছেন- আপনার রব তিনিই একমাত্র জানেন কে পথ হারিয়েছে, কে পথভ্রষ্ট হয়েছে সঠিক পথ থেকে। আল্লাহ ভালো জানেন আমি বিপথে আছি না আপনি,আমি তো এটাও জানি না আমি নিজে সঠিক পথে আছি কিনা! এটুকু জ্ঞান আমার নেই । আপনাকে পথ নির্দেশনা দেয়ার আগে আমার বুঝতে হবে আল্লাহই একমাত্র জানেন আমার মর্যাদা কতটুকু, আমার আসল অবস্থান কোথায়     তো আমাকে আল্লাহর সামনে নত থাকতে হবে অন্য কাউকে উপদেশ দেয়ার আগে। আমি কখনো বলি না সুবহানাল্লাহ এই  লোকগুলো পুরোপুরি বিভ্রান্তিতে আছে; আমাদের কে সাহায্য করতে হবে। এটা ভাববার আগে একটু থামুন, আমি তো নিজের অবস্থান কোথায় তাও জানিনা।  আর দ্বিতীয়ত যখন কাউকে উপদেশ দিচ্ছেন,  তখন তারা আপনার কথা শুনছেনা; যেভাবে আপনি চাইছেন। তাদের কোন রুপান্তর দেখা যাচ্ছে না; এর মানে এই না যে তারা পথভ্রষ্ট, হয়তো কোন বীজ  বেড়ে উঠছে, তা আপনি দেখতে পারছেনা না, তবে আল্লাহ জানেন ভিতরে কি আছে। আর বাহিরের অবস্থান দেখে আমরা অধৈর্য হয়ে পড়ি আর ভিতরে কি হচ্ছে সে ব্যাপারে কোন খেয়াল  করিনা। 

c.l.t.d

Ustad Nowman Ali Khan

Comments

  1. আসলে তাই আমরা সবসময় বাহ্যিক দিক দেখে অন্যকে যাচাই করে ফেলি! মহান আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে চলার তৌফিক দিন আমিন !!

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular Posts