বিশুদ্ধ মন!!
মাঝে মাঝে মনে হয় আমি যদি নাই থাকতাম কারণ এই দুনিয়ার জটিলতা আমায় অনেক দুঃখিত করে!! দুনিয়াটা জটিল না আসলে মানুষগুলো এই দুনিয়ার জটিল অবস্থা তৈরী করেছে,, কেন এতো বিদ্বেষ,এতো হিংসা, অহংকার কৃপনতা!যে দুনিয়ার মুল্য মহান আল্লাহর কাছে সামান্য একটা মাছির ডানার সমান ও নয়!!আর আমরা সেই মরীচিকাময় দুনিয়ার জন্য কত খারাপ কিছু না করছি অথচ সময় শেষ হয়ে গেলে এই সুন্দর অবয়বটি মাটির সাথে মিশে একাকার হয়ে যাবে যেন আমরা কিছুই ছিলাম না,, কিন্তু যা কিছু করেছি সেগুলো ঠিকই রয়ে যাবে। কারণ মহান আল্লাহ আমাদের সৌন্দর্য, ধন সম্পদ খ্যাতি কোন কিছুই দেখবেন না, দেখবেন আমাদের অন্তর আমাদের আমল। যদি আমরা আমাদের মন থেকে কলুষতা দূর করতে না পারি যতই ইবাদত করিনা কেন কোনই লাভ হবেনা কারণ আমার দ্বারা কোন মানুষ যদি কষ্ট পায় যদি কারও প্রতি বিদ্বেষ পোষন করি বা কারও কোন ক্ষতি করি তাহলে হয়তো আমার কষ্ট করে করা ইবাদাত গুলো মহান আল্লাহর কাছে গ্রহণ যোগ্য নাও হতে পারে,, যখন মন কলুষিত হয়ে যাবে তখন আমার দ্বারা যেকোনো খারাপ কাজ সহজ হয়ে যাবে। তাই এ বিষয়ে আমাদের চিন্তা করা প্রয়োজন যদি মহান আল্লাহ আমার ইবাদত গুলো কবুল না করেন তাহলে কি হবে সেসময়কার অবস্থা যে সময় আমাদের একমাত্র সম্বল হবে আমাদের রেখে যাওয়া কাজ গুলো!!,, আমরা যদি এই কথা বিশ্বাস করি সৃষ্টির সেরা মানুষ মুহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের একমাত্র আর্দশ তাহলে কি দেখতে পাই তিনি নবী হওয়া সত্বেও তার জীবনে কষ্ট কম ছিল না তার অতিপ্রিয়জনরা তাকে কষ্ট দিয়েছেন তারপর তিনি কোনদিন কাউকে অভিশাপ দেন নি বরং তাদের জন্য দুয়া করেছেন তাদের সাথে সবসময় সুন্দর আচরণ করেছেন তার এই সুন্দর আচরণের কারণে অনেক শত্রু পরম কাছের বন্ধুতে পরিনত হয়েছেন। আমরা আসলে বাস্তবিক অর্থে প্রিয় নবীর আর্দশ নিজের জীবনে প্রতিফলন করতে পারিনি, আমরা কম বেশি সবাই তার জীবনী জানি কিন্তু তার এই আদর্শ থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করিনা!!কি এমন ক্ষতি হয়ে যাবে যদি আমাদের মনে হিংসা বিদ্বেষগুলোকে দূর করলে,একটু মানুষকে ভালোবাসলে?? শয়তান চায় মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে, আর মহান আল্লাহ চান আমরা যেন সবাই মনের বিদ্বেষ গুলো দুর করে একে অপরকে ভালোবাসি আর পরস্পরের প্রতি কল্যানকামী হই। এখন আমাদের সিদ্ধান্ত আমরা কি মহান আল্লাহর কাছ থেকে নিরাশ হয়ে যাওয়া ঐ ধোকাবাজ শয়তানের পথে চলব না মহান আল্লাহ আমাদের যে অমীয় শান্তির পথে আহবান করেছেন তার দিকে সাড়া দিব। মহান আল্লাহ বলেন :(নিঃসন্দেহে সেই সফলকাম হয়েছে যে তার নফস বা মনকে পরিশুদ্ধ করেছে,আর সেই ব্যর্থ হয়েছে যে তার নফসকে কলুষিত করেছে (সুরা শামস :৯ ১০)
Comments
Post a Comment