মহান আল্লাহ আমাদের  কত নিয়ামত দিয়ে ধন্য করেছেন যে সৃষ্টির সেরা মানুষ  নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমাদের নবী হিসেবে প্রেরণ করেছেন যার উম্মত হতে পারা কত যে সৌভাগ্যের ব্যাপার যে পৃথিবীর সব সম্পদ দিয়েওএর মুল্য পরিশোধ করা যাবে না তিনি হলেন পুরো সৃষ্টি জগতের জন্য রহমত স্বরূপ! যার চরিত্র ছিল এমন নিষ্কলুষ পবিত্র যার সত্যবাদিতা আমানতদারিতার কারণে মক্কার কাফির মুশরিকরা তাকে আল আমীন নামে ভুষিত করেছিল তার  আচরণ এতই সুন্দর ছিল তার সবচেয়ে বড় শত্ররা মুগ্ধ হয়ে যেত!!মহান আল্লাহ বলেন ( আর নিশ্চয় আপনি মহান চরিত্রের উপর রয়েছেন! সুরা কলম :৪) সত্যি  বলতে কি আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে বলতে গেলে শেষ হবে না বরং আরও  অনেক কিছু বাকি থেকে যাবে  তার পুরো জীবন টা আমাদের জন্য মহান আর্দশ ও অনুসরণ ও অনুকরণ করার জন্য সবোর্ত্তম দৃষ্টান্ত।  তিনি  তার পুরো জীবনে আমাদের জন্য কাজ করে গেছেন অনেক কষ্ট করেছেন। আর সেই আমরা কি করছি আমরা তার উম্মত হওয়ার মর্মই বুঝলাম না তার রেখে যাওয়া শিক্ষা গুলো ভুলে যাচ্ছি!! তার  তো অনুসরণ করছিনা উল্টো পথে চলছি আমরা আমাদের নবী কে চিনলাম না অথচ আমরা যদি সত্যি ঈমানদার মুসলিম হতে চাই তাহলে অবশ্যই প্রথমে মহান আল্লাহ ও তার রাসুলকে ভালোবাসতে হবে। শুধু মৌখিক ভাবে ভালোবাসলাম এতেই দায়িত্ব শেষ তা যদি ভাবে তা হবে ভুল  আমাদের তেমনই ভালোবাসতে হবে যেমন ভালোবেসেছেন সাহাবীগন, তারা মহান আল্লাহ ও রাসুল কে এতো ভালোবাসতেন যে তারা তাদের জীবন দিতে দ্বিধা করতেন না! আর কিছু মানুষ এমন আছে মৌখিক ভাবে মুসলিম হলেও তাদের অন্তরে আছে ঘৃণা ওবিদ্বেষ তারা রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নিয়ে কটুক্তি অবমাননা করতে ছাড়েনা তার মতো নিকৃষ্ট ঘৃণ্য কাজ আর কি হতে পারে যে এমন কাজ করে!! ঈমান দার মুসলিম হিসেবে কিছু মুসলিম যখন এর প্রতিবাদ করতে গেল  তখন তারাও অত্যাচারের শিকার হল অথচ এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করা আমাদের মুসলিম হিসেবে অবশ্যই করনীয় কাজ!! তা না হলে আমরা কিভাবে নিজেদের ঈমানদার মুসলিম হিসেবে দাবি করতে পারি??কারণ একটা সমাজে যখন অন্যায়ের প্রতিবাদ করা হয়না তখন সে সমাজে অন্যায় বেড়ে যায় আর এব্যাপারে আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “তোমাদের মধ্যে যে কেউ কোন খারাপ কাজ দেখবে, সে যেন তা হাত দ্বারা প্রতিহত করে, তা যদি সম্ভব না হয় তাহলে মুখ দ্বারা প্রতিহত করবে, আর যদি তাও সম্ভব না হয় তাহলে অন্তর দ্বারা ঘৃণা করবে। এটাই ঈমানের সবচেয়ে দুর্বল স্তর। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘এর পরে সরিষা পরিমাণ ঈমানও বাকী নেই। [মুসলিমঃ ৪৯, আবু দাউদঃ ১১৪০]
অন্য এক হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘যার হাতে আমার জীবন তাঁর শপথ করে বলছি, অবশ্যই তোমরা সৎকাজের আদেশ করবে এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে। নতুবা অচিরেই আল্লাহ তোমাদের উপর তাঁর পক্ষ থেকে শাস্তি নাযিল করবেন। তারপর তোমরা অবশ্যই তাঁর কাছে দো’আ করবে, কিন্তু তোমাদের দোআ কবুল করা হবে না। [তিরমিযীঃ ২১৬৯, মুসনাদে আহমাদঃ ৫/৩৯১]
অনুরূপভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এক লোক জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহ্‌র রাসূল, কোন লোক সবচেয়ে বেশী ভাল? তিনি বললেনঃ সবচেয়ে ভাল লোক হল যে আল্লাহ্‌র তাকওয়া অবলম্বন করে, সৎকাজে আদেশ দেয় ও অসৎকাজ থেকে নিষেধ করে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক ঠিক রাখে। [মুসনাদে আহমাদঃ ৬/৪৩১]বলুন, ‘তোমরা আল্লাহ্‌ ও রাসূলের আনুগত্য কর। ’ তারপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে নিশ্চয় আল্লাহ্‌ কাফেরদেরকে পছন্দ করেন না.(সুরা আলেইমরান:৩২)আর তাই আমাদের উচিত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যদি আমরা শান্তি চাই অবশ্যই আমাদের মহান আল্লাহ ও তার রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আনুগত্য করতে হবে।

Comments

Popular Posts