শিরক বড় গুনাহ!
মহান আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তারই ইবাদাত করার জন্য। আমাদের সঠিক পথ দেখানোর জন্য যুগে যুগে অনেক নবী রাসুল পাঠিয়েছেন যেন আমরা মহান আল্লাহর আদেশ নিষেধ মেনে চলতে পারি। এমন কিছু গুনাহ আছে যা করলে চিরকাল জাহান্নাম অবধারিত হতে পারে তওবা না করলে মহান আল্লাহ ক্ষমা করবেননা। যেসব গুনাহ কবীরা গুনাহ নামে পরিচিত, যেমন, মহান আল্লাহর সাথে কারও অংশীদার স্থাপন করা, পিতা মাতার অবাধ্য সন্তান,সুদ খাওয়া বা সুদের সাথে সংপৃক্ত লেনদেনের সাথে জড়িত থাকা, যাদু করা, ভাগ্য জানার জন্য গনকের কাছে যাওয়া মদ, জুয়া খেলা ইত্যাদি আরও অনেক কবীরা গুনাহ আছে যা করলে চিরকাল জাহান্নাম অবধারিত হতে পারে তবে সবচেয়ে বড় গুনাহ হচ্ছে মহান আল্লাহর সাথে কারও শরীক করা! আর এই গুনাহ কিছুতেই ক্ষমা করবেননা যতক্ষণ পর্যন্ত না তওবা করে। আর অন্যান্য গুনাহ মহান আল্লাহ চাইলে ক্ষমা করে দিতে পারেন, শির্ক হচ্ছে দুই প্রকারের একটা বড় শির্ক আর একটা ছোট শির্ক। বড় শির্ক যা উপরে বলা হয়েছে আমাদের সমাজে আমরা বেশীর ভাগ ছোট শির্কে লিপ্ত যা আমরা বুঝতে পারছিনা কিন্তু এই ছোট শির্ক করার জন্য আমাদের ঈমান নষ্ট হতে পারে! আমাদের অজান্তে শুধু মাত্র না জানার কারণে । আমরা অনেকে বদ নজর থেকে বাচার জন্য বা কোন রোগ ভালো হওয়ার জন্য তাবিজ কবজ সুতা আন্টি, গাছের শিকর বাকড় ব্যবহার করি আর মনে করি এগুলোর মাধ্যমে রোগ বা কোন সমস্যা দূর হবে আর মনে করছি এগুলোর মাধ্যমে আল্লাহ ভালো করবেন কিন্তু এই পদ্ধতি ব্যবহার করা মহান আল্লাহ আমাদের অনুমতি দেননি, কারণ এইটাই ছোট শির্ক আর যদি মনে করা হয় তাবিজ কবজ দ্বারাই কোন সমস্যা বা রোগ দূর হবে তাহলে তা বড় শির্ক হবে এবং তার ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে কারণ মহান আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছু দ্বারা রোগ বা সমস্যা দূর হবে মনে করেছে। (এই ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন,
قُلْ أَفَرَأَيْتُمْ مَا تَدْعُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ إِنْ أَرَادَنِيَ اللَّهُ بِضُرٍّ هَلْ هُنَّ كَاشِفَاتُ ضُرِّهِ (الزمر: 38)
[হে রাসূল] ‘‘আপনি বলে দিন, তোমরা কি মনে করো, আল্লাহ যদি আমার কোন ক্ষতি করতে চান তাহলে তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদেরকে ডাকো, তারা কি তাঁর [নির্ধারিত] ক্ষতি হতে আমাকে রক্ষা করতে পারবে?’’ (যুমারঃ ৩৮)।
২। সাহাবী ইমরান বিন হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, নবী করীম (সা:) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘এটা কি?’’ লোকটি বললো, এটা দুর্বলতা দূর করার জন্য দেয়া হয়েছে। তিনি বললেন, ‘‘এটা খুলে ফেলো। কারণ এটা তোমার দুর্বলতাকেই শুধু বৃদ্ধি করবে। আর এটা তোমার সাথে থাকা অবস্থায় যদি তোমার মৃত্যু হয়, তবে তুমি কখনো সফলকাম
হতে পারবে না।’’ (আহমাদ)
৩। উকবা বিন আমের রা. হতে একটি ‘‘মারফু’’ হাদীসে বর্ণিত আছে,
من تعلق تميمة فلا أتم الله له ومن تعلق ودعة فلا ودع الله له
‘‘যে ব্যক্তি তাবিজ ঝুলায় (পরিধান করে) আল্লাহ যেন তার আশা পূরণ না করেন। যে ব্যক্তি কড়ি, শঙ্খ বা শামুক ঝুলায় তাকে যেন আল্লাহ রক্ষা না করেন।’’ অপর একটি বর্ণনায় আছে,
من تعلق تميمة فقد أشرك
‘‘যে ব্যক্তি তাবিজ ঝুলালো সে শিরক করলো।’’
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন
‘‘আমি তোমাদের জন্য যে জিনিসের সবচেয়ে বেশী ভয় করি তা হচ্ছে শির্কে আসগার অর্থাৎ ছোট শিরক। শির্কে আসগার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তরে বললেন, ছোট শির্ক হচ্ছে রিয়া’’ অর্থাৎ মানুষকে দেখানোর জন্য আমল করা’’।[3] রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সাহাবীদের উপর শির্কের ভয় করতেন। অথচ তারা কেবল এক আল্লাহরই এবাদত করতেন, তাদেরকে যেই আদেশ দেয়া হয়েছিল, তারা শুধু তাই করতেন। সুতরাং তারা হিজরত করেছেন, তাদের নবী তাদেরকে যেই তাওহীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন, তারা তা খুব ভালভাবেই বুঝেছিলেন এবং এককভাবে আল্লাহর এবাদত করা এবং শির্ক থেকে মুক্ত থাকার যেই হুকুম আল্লাহ্ তাআলা স্বীয় কিতাবে নাযিল করেছেন, তাও তারা খুব ভালভাবেই বুঝতে পেরেছেন। সুতরাং যারা ইলম ও আমলে সাহাবীদের সমকক্ষ নন, তাদের উপর শির্কের ভয় করবেন না- এটা কিভাবে হতে পারে?
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই উম্মতের মধ্যে বড় শির্ক প্রবেশ করবে বলে আগাম সংবাদ দিয়েছেন। ছাওবান রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন
‘‘আমার উম্মতের বিরাট একটি জামাআত মুশরিকদের সাথে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত এবং তাদের একটি দল মূর্তিপূজায় লিপ্ত না হওয়া পর্যন্ত কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হবে না’’)[ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা বলেছেন, তাই হয়েছে। অধিকাংশ অঞ্চলেই এই ফিতনা ছড়িয়ে পড়েছে। শির্ক নিষিদ্ধ হওয়া এবং অনেক সহীহ হাদীছ ও কুরআনের অনেক সুস্পষ্ট আয়াতে তা থেকে ভয় দেখানোর পরও লোকেরা শির্ককেই দ্বীন হিসাবে গ্রহণ করেছে। আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ
إِنَّهُ مَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ
‘‘নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শরীক করবে তার জন্য আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দিবেন, তার স্থান হবে জাহান্নাম’’। (সূরা মায়েদা :৭২) আমরা নিজেদের মুসলিম হিসেবে দাবি করি কিন্তু আমরা এমন কিছু কাজ করি যা করলে আমাদের ঈমান ও আমল দুটোই নষ্ট হতে পারে যেমন বিধর্মীদের উৎসব অনুষ্ঠানে যাওয়া তাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করা কিন্তু একথা আমরা একটু বুঝার চেষ্টা করি না যে তাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করা মানে তাদের এই কাজ কে সমথর্ন করা কিন্তু মহান আল্লাহ বলেনসূরা হজ্জের ৩০ ও ৩১ নং আয়াতে বলেনঃ
فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْأَوْثَانِ وَاجْتَنِبُوا قَوْلَ الزُّور حُنَفَاء لِلَّهِ غَيْرَ مُشْرِكِينَ بِهِ
(‘‘সুতরাং তোমরা বর্জন করো মূর্তিপূজার অপবিত্রতা এবং দূরে থাকো মিথ্যা কথা থেকে। আল্লাহ্র দিকে একনিষ্ঠ হয়ে, তাঁর সাথে শরীক না করে)। অতঃপর আল্লাহ্ তাআলা তাঁর বান্দাদেরকে শির্ক থেকে সতর্ক করে সূরা হজ্জের ৩১ নং আয়াতে বলেনঃ
وَمَن يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَكَأَنَّمَا خَرَّ مِنَ السَّمَاء فَتَخْطَفُهُ الطَّيْرُ أَوْ تَهْوِي بِهِ الرِّيحُ فِي مَكَانٍ سَحِيقٍ
(‘‘যে কেউ আল্লাহ্র সাথে শরীক করল সে যেন আকাশ থেকে ছিটকে পড়ল। অতঃপর পাখী তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল অথবা বাতাস তাকে উড়িয়ে নিয়ে দূরবর্তী কোনো স্থানে নিক্ষেপ করল’’). এই আয়াতের মধ্যে চিন্তা-গবেষণা করার পরও যে ব্যক্তি এবাদতের ক্ষেত্রে শির্ক থেকে বাঁচতে পারবেনা তার হেদায়াতের কোন আশা নেই।
ইবনে মাসউদ রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,,
«مَنْ مَاتَ وَهْوَ يَدْعُو مِنْ دُونِ اللَّهِ نِدًّا دَخَلَ النَّارَ»
(‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অনুরূপ কাউকে আহবান করা অবস্থায় মৃত্যু বরণ করবে, সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে’’)..কোনকিছু কে সুলক্ষণ কুলক্ষণ মনে করা যামানাকে গালি দেয়া আরও অনেক কাজ আছে যা আমরা গুনাহ মনে করিনা যা করলে আমাদের ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে তাই আমাদের উচিত শির্ক সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানা কুরআন হাদিসের আলোকে এসব আমরা আজকাল সহজে জানতে পারি মোবাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমে যদি আমাদের ঈমান বাচাঁতে চাই অবশ্যই শিরক হারাম বিদাআত সম্পর্কে ইসলামীক মৌলিক জ্ঞান থাকা জরুরি কারণ এসব গুনাহের পরিনতি ভয়াবহ !!
قُلْ أَفَرَأَيْتُمْ مَا تَدْعُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ إِنْ أَرَادَنِيَ اللَّهُ بِضُرٍّ هَلْ هُنَّ كَاشِفَاتُ ضُرِّهِ (الزمر: 38)
[হে রাসূল] ‘‘আপনি বলে দিন, তোমরা কি মনে করো, আল্লাহ যদি আমার কোন ক্ষতি করতে চান তাহলে তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদেরকে ডাকো, তারা কি তাঁর [নির্ধারিত] ক্ষতি হতে আমাকে রক্ষা করতে পারবে?’’ (যুমারঃ ৩৮)।
২। সাহাবী ইমরান বিন হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, নবী করীম (সা:) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘এটা কি?’’ লোকটি বললো, এটা দুর্বলতা দূর করার জন্য দেয়া হয়েছে। তিনি বললেন, ‘‘এটা খুলে ফেলো। কারণ এটা তোমার দুর্বলতাকেই শুধু বৃদ্ধি করবে। আর এটা তোমার সাথে থাকা অবস্থায় যদি তোমার মৃত্যু হয়, তবে তুমি কখনো সফলকাম
হতে পারবে না।’’ (আহমাদ)
৩। উকবা বিন আমের রা. হতে একটি ‘‘মারফু’’ হাদীসে বর্ণিত আছে,
من تعلق تميمة فلا أتم الله له ومن تعلق ودعة فلا ودع الله له
‘‘যে ব্যক্তি তাবিজ ঝুলায় (পরিধান করে) আল্লাহ যেন তার আশা পূরণ না করেন। যে ব্যক্তি কড়ি, শঙ্খ বা শামুক ঝুলায় তাকে যেন আল্লাহ রক্ষা না করেন।’’ অপর একটি বর্ণনায় আছে,
من تعلق تميمة فقد أشرك
‘‘যে ব্যক্তি তাবিজ ঝুলালো সে শিরক করলো।’’
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন
‘‘আমি তোমাদের জন্য যে জিনিসের সবচেয়ে বেশী ভয় করি তা হচ্ছে শির্কে আসগার অর্থাৎ ছোট শিরক। শির্কে আসগার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তরে বললেন, ছোট শির্ক হচ্ছে রিয়া’’ অর্থাৎ মানুষকে দেখানোর জন্য আমল করা’’।[3] রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সাহাবীদের উপর শির্কের ভয় করতেন। অথচ তারা কেবল এক আল্লাহরই এবাদত করতেন, তাদেরকে যেই আদেশ দেয়া হয়েছিল, তারা শুধু তাই করতেন। সুতরাং তারা হিজরত করেছেন, তাদের নবী তাদেরকে যেই তাওহীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন, তারা তা খুব ভালভাবেই বুঝেছিলেন এবং এককভাবে আল্লাহর এবাদত করা এবং শির্ক থেকে মুক্ত থাকার যেই হুকুম আল্লাহ্ তাআলা স্বীয় কিতাবে নাযিল করেছেন, তাও তারা খুব ভালভাবেই বুঝতে পেরেছেন। সুতরাং যারা ইলম ও আমলে সাহাবীদের সমকক্ষ নন, তাদের উপর শির্কের ভয় করবেন না- এটা কিভাবে হতে পারে?
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই উম্মতের মধ্যে বড় শির্ক প্রবেশ করবে বলে আগাম সংবাদ দিয়েছেন। ছাওবান রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন
‘‘আমার উম্মতের বিরাট একটি জামাআত মুশরিকদের সাথে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত এবং তাদের একটি দল মূর্তিপূজায় লিপ্ত না হওয়া পর্যন্ত কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হবে না’’)[ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা বলেছেন, তাই হয়েছে। অধিকাংশ অঞ্চলেই এই ফিতনা ছড়িয়ে পড়েছে। শির্ক নিষিদ্ধ হওয়া এবং অনেক সহীহ হাদীছ ও কুরআনের অনেক সুস্পষ্ট আয়াতে তা থেকে ভয় দেখানোর পরও লোকেরা শির্ককেই দ্বীন হিসাবে গ্রহণ করেছে। আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ
إِنَّهُ مَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ
‘‘নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শরীক করবে তার জন্য আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দিবেন, তার স্থান হবে জাহান্নাম’’। (সূরা মায়েদা :৭২) আমরা নিজেদের মুসলিম হিসেবে দাবি করি কিন্তু আমরা এমন কিছু কাজ করি যা করলে আমাদের ঈমান ও আমল দুটোই নষ্ট হতে পারে যেমন বিধর্মীদের উৎসব অনুষ্ঠানে যাওয়া তাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করা কিন্তু একথা আমরা একটু বুঝার চেষ্টা করি না যে তাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করা মানে তাদের এই কাজ কে সমথর্ন করা কিন্তু মহান আল্লাহ বলেনসূরা হজ্জের ৩০ ও ৩১ নং আয়াতে বলেনঃ
فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْأَوْثَانِ وَاجْتَنِبُوا قَوْلَ الزُّور حُنَفَاء لِلَّهِ غَيْرَ مُشْرِكِينَ بِهِ
(‘‘সুতরাং তোমরা বর্জন করো মূর্তিপূজার অপবিত্রতা এবং দূরে থাকো মিথ্যা কথা থেকে। আল্লাহ্র দিকে একনিষ্ঠ হয়ে, তাঁর সাথে শরীক না করে)। অতঃপর আল্লাহ্ তাআলা তাঁর বান্দাদেরকে শির্ক থেকে সতর্ক করে সূরা হজ্জের ৩১ নং আয়াতে বলেনঃ
وَمَن يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَكَأَنَّمَا خَرَّ مِنَ السَّمَاء فَتَخْطَفُهُ الطَّيْرُ أَوْ تَهْوِي بِهِ الرِّيحُ فِي مَكَانٍ سَحِيقٍ
(‘‘যে কেউ আল্লাহ্র সাথে শরীক করল সে যেন আকাশ থেকে ছিটকে পড়ল। অতঃপর পাখী তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল অথবা বাতাস তাকে উড়িয়ে নিয়ে দূরবর্তী কোনো স্থানে নিক্ষেপ করল’’). এই আয়াতের মধ্যে চিন্তা-গবেষণা করার পরও যে ব্যক্তি এবাদতের ক্ষেত্রে শির্ক থেকে বাঁচতে পারবেনা তার হেদায়াতের কোন আশা নেই।
ইবনে মাসউদ রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,,
«مَنْ مَاتَ وَهْوَ يَدْعُو مِنْ دُونِ اللَّهِ نِدًّا دَخَلَ النَّارَ»
(‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অনুরূপ কাউকে আহবান করা অবস্থায় মৃত্যু বরণ করবে, সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে’’)..কোনকিছু কে সুলক্ষণ কুলক্ষণ মনে করা যামানাকে গালি দেয়া আরও অনেক কাজ আছে যা আমরা গুনাহ মনে করিনা যা করলে আমাদের ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে তাই আমাদের উচিত শির্ক সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানা কুরআন হাদিসের আলোকে এসব আমরা আজকাল সহজে জানতে পারি মোবাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমে যদি আমাদের ঈমান বাচাঁতে চাই অবশ্যই শিরক হারাম বিদাআত সম্পর্কে ইসলামীক মৌলিক জ্ঞান থাকা জরুরি কারণ এসব গুনাহের পরিনতি ভয়াবহ !!
Comments
Post a Comment